Satyajit Ray : নামটি সত্যজিৎ রায়। যেই নামটি ক্রমাগত তৈরি করেছে নানা বাক্য, নানা প্রবাদ এবং নানান ধরনের ইতিহাস।
যাকে বিশ্ব চলচ্চিত্রের জাদুকর বললে বোধহয় ভুল বলা হবে না। এই নামটি শুধু বাংলা নয় বরং গোটা বিশ্বের সিনেমা প্রেমী এবং অবশ্যই বই প্রেমীদের মনে বিশেষ স্থান অধিকার করে রয়েছে।
তবে “সত্যজিৎ রায়” নামটি যখন আমার মাথায় আসে তখন নিজেকে একপ্রকার হতভাগা-ই মনে হয়। কারণ আমি যখন এই ধরাধামে এলাম তখন তিনি (সত্যজিৎ রায়) ইতিমধ্যেই সুরলোক চলে গিয়েছেন।ফলত সামনে থেকে মানুষটিকে চেনা কিংবা জানার সুযোগ আমার হয়নি।

“ফেলুদা” এবং “শঙ্কু’ দিয়ে সত্যজিৎ পরিমন্ডলে আমার প্রবেশ । তারপর ধীরে ধীরে “পথের পাঁচালী” হয়ে “অশনি সংকেত” প্রভৃতি আমায় করে তুলেছে সত্যজিৎ নেশায় মাতোয়ারা।
একটি মানুষ কি ভাবে একসাথে লেখক , পরিচালক , চিত্রকর এবং সংগীত পরিচালক হতে পারে তা আমায় সর্বক্ষণ ভাবায়। প্রতিটি ক্ষেত্রেই তাঁর ছোঁয়া ছিল অসাধারণ।
বাংলার পল্লী জীবনের আবেগ – সরলতা যে কোনো সিনেমার বিষয় হতে পারে তা তাঁর অনবদ্য কাহিনী কহণ এবং নিখুঁত সিনেমাটোগ্রাফি বারংবার প্রমাণ করেছে।
এই বাংলায় হয়তো সত্যজিৎ রায় আর ফিরবে না কিন্তু তাঁর ছোঁয়া, তাঁর শিক্ষা বারংবার ফিরে ফিরে আসবে “অনিক দত্ত এর অপরাজিত” বা “সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের পদাতিক” সিনেমার মাধ্যমে।
ছবি : রাধা স্টুডিও।
লেখা : অভিজিৎ মান্না।